আজকে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে এয়ারএশিয়া ফ্লাইটে প্নমপেন ইন্টারন্যাশনাল এয়াপোর্টে এসে কম্বোডিয়া ইমিগ্রেশন অতিক্রম করলাম।
কুয়ালালামপুর এয়ারপোর্ট
কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশনে একটা প্রশ্নও করেনি। বাংলাদেশী পাসপোর্ট দেখে দ্বিতীয়বারও তাকায়নি। পাসপোর্ট আর বোর্ডিং পাস দেয়ার পর সিল দিয়ে পাসপোর্ট ফেরত দিয়ে দিয়েছে। ফিংগারপ্রিন্ট নিল কি না মনে পড়ছে না।
গেইটেও এয়ারএশিয়া স্টাফ কোন ডকুমেন্ট চেক করেনি, কিছু জিজ্ঞেসও করেনি। শুধু বোর্ডিং পাস স্ক্যান করে পাসপোর্টের সাথে মিলিয়ে দেখে যেতে দিয়েছে।

কম্বোডিয়া ইমিগ্রেশন
কম্বোডিয়ার প্নমপেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে এসে প্রথমে সামনে রাখা ট্যাবে কাস্টমস ও হেলথ ফর্ম ফিলাম করলাম। পাসপোর্টের কোড স্ক্যান করার পর সব তথ্য অটোমেটিক নিয়ে নিল। এরপর ১০ হাজার ডলারের বেশি সাথে আছে কি না, ইয়োলো ফিভার ভ্যাকসিন নেয়া আছে কি না, এখন জ্বর বা অন্য কোন লক্ষ্মণ আছে কিনা, গত ১৪ দিনে মধ্যপ্রাচ্য বা ল্যাটিন আমেরিকা ভিসিট করেছি কি না, এই সব প্রশ্নের উত্তর হ্যঁ বা না সিলেক্ট করে সাবমিট দেয়ার পরে সাকসেস ম্যাসেজ আসলো একটা কিউ আর কোড সহ, আর ইমিগ্রেশনে যেতে বলল।
কিউআর কোডটার একটা ছবি তুলে নিয়ে দশ পা সামনে ইমিগ্রেশনে আসলাম। অফিসারকে পাসপোর্ট আর বোর্ডিং পাসটা দিলাম। আর সবগুলো হোটেলের বুকিং আর বাসের টিকেটের প্রিন্ট ডেস্ক-এ রাখলাম। কি পরিমান ডকুমেন্টস আসে সেগুলো শুধু হাত বুলিয়ে দেখলো। তারপর ফিঙ্গার প্রিন্ট নিল। ক্যামেরাটা নিজেই সামনে এনে ছবি তুললো। তারপর সীল দিয়ে পাসপোর্টটা একটা হাসি সহ ফেরত দিয়ে বলল, ডান!
একটা প্রশ্ন করল না, ডলার দেখতে চাইলো না! চারিদিকে বড় বড় করে ব্যানার লাগানো, এখানে কোন টিপস না। বের হয়ে সামনে এসে দেখি অপ্সরারা বাজনা বাজিয়ে আর নেচে নেচে ট্যুরিস্টদের বরন করছে।
কম্বোডিয়ার ভিসা নিয়েছিলাম কুয়ালালামপুর থেকে মাত্র একদিনে। এখানে দেখতে পারেন তার বিস্তারিতঃ https://www.facebook.com/share/p/1HnKG6Bep4/